‘মায়াবতী’র পোস্টার দেখেই ফিরে যাচ্ছেন দর্শক
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সারা দেশের ২২টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় নুসরাত ইমরোজ তিশা ও ইয়াস রোহান অভিনীত ‘মায়াবতী’ সিনেমাটি।
সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন অরুণ চৌধুরী। মুক্তির আগে থেকে প্রচারণায় ব্যতিক্রম নিয়ে আসলেও সিনেমাটি দর্শক টানতে ব্যর্থ হচ্ছে।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিনেমাটি দেখতে হলে দর্শক আসছেন না। দর্শকরা পোস্টার দেখেই ফিরে যাচ্ছেন। এদিকে আশানারুপ দর্শক না হওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছেন হল মালিকরা।
রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থিত মধুমতি সিনেমা হলে চলছে ‘মায়াবতী’ সিনেমাটি। এই হলে সন্ধ্যার শোতে দেখা যায়, টিকিট কাউন্টারের সামনে উৎসুক জনতার ভিড়। হলের সিঁড়ি বেয়ে হলের রুমে গিয়ে দেখা মিলে কয়েকজন দর্শক মিলে
রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থিত মধুমতি সিনেমা হলে চলছে ‘মায়াবতী’ সিনেমাটি। এই হলে সন্ধ্যার শোতে দেখা যায়, টিকিট কাউন্টারের সামনে উৎসুক জনতার ভিড়। হলের সিঁড়ি বেয়ে হলের রুমে গিয়ে দেখা মিলে কয়েকজন দর্শক মিলে ছবিটি দেখছেন। সন্তোষজনক দর্শকের দেখা মিললেও টিকেট কেটে কেউ ভিতরে প্রবেশ করছেন না।
সন্তোষজনক দর্শকের উপস্থিতি থাকার পরও কেনও ছবিটি দেখতে টিকিট কাটছেন না? তা জানতে চাইলে হলের কর্মচারী রবিন বলেন, শুক্রবার সিনেমাটি মোটামুটি চললেও আজ তেমন দর্শক চোখে পড়েনি। দর্শকরা শুধু পোস্টার দেখে ফিরে গেছেন। শনিবার বিকেলের শোতে ৯০০ আসনের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ লোকও হয়নি। অন্য ছবির চেয়ে এই ছবিটি খুব একটা ভালো করতে পারছে না। সেই সঙ্গে ছবিটি দর্শকদের হলে টানতে ব্যর্থ হচ্ছে।
শ্যামলী হলেও চলছে ‘মায়াবতী’ সিনেমাটি। কিন্তু এ হলেও সিনেমাটি দর্শকদের টানতে পাচ্ছে না। ছবিটি মুক্তির দিন থেকে হল মুখী করতে পারিনি দর্শকদের।
সিনেমা হলের টিকেট চেকার বলেন, শুক্রবার হাতেগোনা দর্শক হলেও শনিবার বিকেলের শোতে দর্শক শূন্য বলা যায়। কারণ হলে দর্শকের উপস্থিতি পনের কিংবা বিশ জন হলে তা দর্শক শূন্যই বলা যায়। ছবিটি নিয়ে আমরা আশানুরূপ চিন্তা করলেও তা সফল হয়নি। বর্তমানে সিনেমা অ্যাকশন ধর্মী আর নায়কের ওপর নির্ভর করে।
তিনি আরও বলেন, সিনেমা পুরাতন হলেও দর্শক শাকিব খানের সিনেমা দেখতে চান। সিনেমা হল বাঁচাতে হলে শাকিব খানের সঙ্গে নতুনদের সিনেমা করা প্রয়োজন। এছাড়া বানিজ্যিক ধারার ছবি নির্মাণে ছবির অবস্থার সংকট কাটিয়ে তুলবে।
পুরান ঢাকার জব্বার মুনশী নামে একজন সিনেমা প্রেমী ‘মায়াবতী’ সিনেমা দেখতে এসেছিলেন। তিনি সময় নিউজকে তার দীর্ঘ দিনের সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতার কথা জানান। তিনি বলেন, প্রায় ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে আমি সিনেমা দেখে আসছি। আমার দেখা সব ছবির মধ্যে ‘মায়াবতী’ সিনেমাটি একদম বস্তাপঁচা ছবি। এর আগেও নতুন নায়ক বাপ্পী, সাইমনের ছবি দেখেছি। সেগুলোতে তারা ভালো অভিনয় করেছেন।
নোয়ার আজাদ ফিল্মস ও অনন্য সৃষ্টি অডিও ভিশন প্রযোজিত ‘মায়াবতী’তে তিশা, রোহান ছাড়াও অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, রাইসুল ইসলাম আসাদ, দিলারা জামান, মামুনুর রশীদ, নরেশ ভুঁইয়া, ওয়াহিদা মল্লিক জলি, আফরোজা বানু, অরুণা বিশ্বাসসহ আরও অনেকে।
২ ঘণ্টা ২০ মিনিট ব্যাপ্তির এ ছবির গল্প গড়ে উঠেছে নারী পাচারকে ঘিরে। সমাজের পারিপার্শ্বিক অবস্থা চিত্রায়িত হয়েছে এ চলচ্চিত্রে। নিটোল প্রেমের গল্পের পাশাপাশি পরিচালক অরুণ চৌধুরী এতে সমাজের নানা অসঙ্গতি তুলে ধরেছেন।
Comments
Post a Comment