ক্যাসিনো থেকে টাকার পাহাড় গড়েছেন সম্রাট
প্রভাব খাটিয়ে ঢাকায় গড়ে তুলেছিলেন বিশাল ক্যাসিনো নেটওয়ার্ক। গড়ে তুলেছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়। ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরুর পর এমন সব অভিযোগে নানা মহল থেকে গ্রেফতারের দাবি যখন তুঙ্গে ঠিক তখন আত্মগোপনে চলে যান যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। জল্পনা-কল্পনা শেষে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সহযোগী আরমানসহ তাকে আটক করেছে র্যাব।
১৮ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্যসিনো বিরোধী অভিযানের পর থেকেই পুরো ঢাকার ক্যাসিনো ব্যবসার নিয়ন্ত্রক হিসেবে আলোচনায় আসে ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের নাম। অভিযান শুরুর প্রথম তিনদিন খোলা ছিলো ফোন নম্বর। এরপর শতাধিক যুবকের পাহারায় অবস্থান নেন কাকরাইলের ভূঁইয়া ম্যানশনে তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে।
এরপর থেকেই লাপাত্তা সম্রাট। ২২ সেপ্টেম্বর দেয়া হয় দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা। সবমহলে শুরু হয় সম্রাট গুঞ্জন।
নেতৃত্বে। যা থেকে প্রতিরাতে ৪০ লাখের বেশি অবৈধ টাকা আয় হতো তার। এছাড়া চাঁদাবাজি, অবৈধ পার্কিং, মতিঝিলসহ ঢাকা দক্ষিণের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব খাত থেকেও হাতিয়ে নিতেন কোটি কোটি টাকা। সব শেষ ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের ১৭ দিন পরেও যখন সম্রাটকে ধরার কোনো খবর মিলছিলো না তখন সরাসরি প্রশ্ন তোলেন আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতা।
অবশেষে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে শনিবার (০৫ অক্টোবর) ভোর রাতে ক্যাসিনো সম্রাটকে আটক করে র্যাব।
Comments
Post a Comment