ঢাকায় প্রতিদিন পরিবহনে দেড় কোটি টাকার চাঁদাবাজি
রাজধানী ও এর আশেপাশের নানা রুটে চলাচল করে প্রায় ১৫ হাজার বাস, এ থেকে দিনে চাঁদাবাজি হয় অন্তত দেড় কোটি টাকা। আর এই তথ্য দিচ্ছেন চালক ও মালিকেরাই। অভিযোগ আছে, এই চাঁদার বড় একটি অংশ নিচ্ছেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ। ১৯৯৪ সালের মির্জা আব্বাসের কমিটিরও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। তবে চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে এর দায় পরিবহন কোম্পানিগুলোর ওপর চাপাচ্ছেন এনায়েত উল্লাহ।
সকালে সড়কে বাস নামালেই গাড়িপ্রতি এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকা দিতে হয় ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতি ও নানা রুটের মালিক সমিতিকে। এর ৩০ ভাগ শ্রমিক ইউনিয়ন আর ৫ ভাগ পায় শ্রমিক ফেডারেশন। তবে এই লেনদেনের কারণ জানা নেই কারো কাছে।
বাস মালিকদের অভিযোগ, চাঁদা না দিলে সড়কে চলতে দেয়া হয় না গাড়ি। এ সমস্যার সমাধান হলে কম ভাড়ার যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে বলেও মনে করেন তারা।
প্রতিদিন তোলা এই চাঁদার পরিমাণ মাসে দাঁড়ায় প্রায় ৩০-৩২ কোটি টাকা, আর এর পুরোটাই যায় পরিবহন খাতের সিন্ডিকেটের হাতে। এ সিন্ডিকেটে আছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াতসহ সব দলের লোক।
তবে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দাবি, নামেমাত্র চাঁদা নেয় তার সংগঠন, আর তা খরচ হয় নানা উন্নয়নমূলক কাজে। রাজধানীতে প্রতিদিন সায়দাবাদ থেকে সাড়ে তিন হাজার বাস, মহাখালী থেকে আড়াই হাজার, গুলিস্তান থেকে এক হাজার ২০০, ফুলবাড়িয়া থেকে এক হাজার ৭০০, গাবতলী থেকে ইতন হাজার ২০০ বাসসহ মিরপুর আজিমপুর এবং আন্যান্য জায়গা থেকে চলাচল করে ১৫ হাজারের মতো গাড়ি।
Comments
Post a Comment